ব্রডব্যান্ড ও ব্রডকার্স্ট এই দুইয়ের মিলবন্ধন হলো ডিরেক্ট টু মোবাইল টেকনোলজি । এ প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সের মাধ্যমে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী পাঠানো হয় । যার ফলে কোনো ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়ায় সেইসব কন্টেন্টের সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে ডি টু এম প্রযুক্তির মাধ্যমে ।
ডিরেক্ট টু মোবাইল প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে
টেক এক্সপার্টরা বলেছেন ডি টু এম টেকনোলজি মাধ্যমে যেকোনো ধরনের তথ্য সরাসরি মোবাইল ফোনে পাঠানো যাবে । এই জন্য নেটওয়ার্ক, ব্যান্ডউইথ এর জটিলতা থাকবে না । যার ফলে 4G কিংবা 5G নেটওয়ার্কের বাধাও দূর হবে । ডি টু এম টেকনোলজি অনেকটা রেডিও এফএম এর মত । রেডিও তে যেমন একটি রিসিভার থাকে যা ভিন্ন ভিন্ন রেডিও ফ্রিকায়েন্সি ধরতে পারে এক্ষেত্রে কাজটা ঠিক এমনই । আবার এই প্রযুক্তিটি ডি টু এম প্রযুক্তির সাথে ও কিছুটা মিল রয়েছে ।
যেখানে ডিস এন্টিনিয়ার সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে সম্প্রচার সংকেত গ্রহণ করে । এটি তারপরে রিসিভারে প্রেরণ করে যাকে Set Top Box বলা হয় । এটি Mobile Spectrum এর ব্যবহারকে উন্নত করবে এবং BandWidth মুক্ত করবে । যার ফলে ফোনের নেটওয়ার্কের উপর থেকে চাপ কমে আসবে , ভিডিও গুলো বাফারিং করা বন্ধ হবে । এবং সবাই আরো উন্নত মানের সেবা পাবেন ।
কোথায় চলবে ডি টু এম টেকনোলজি
ভারতের সরকারের সম্প্রচারকারি সংস্থা প্রসার ভারতে এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ যৌথ ভাবে ডিরেক্টর মোবাইল টেকনোলজি কাজ করছে । এবং বর্তমানে ভারতে টিভি ট্রান্সলেটরের জন্য যে নির্দিষ্ট ব্যাংক ব্যবহার করা হয় সেটার সাথে মোবাইল পরিষেবা সমন্বয় চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা । কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন তারাতারি ভারতের ১৯ টি শহরে সম্পূর্ণ দেশীও ভাবে তৈরি এই ডিরেক্ট টু মোবাইল প্রযুক্তি ট্রাইল চালানো হবে ।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের গুরুত্ব ও প্রয়োজন
ডি টু এম টেকনোলজির উদ্দেশ্য আসলে খুব পরিষ্কার । এবং বিশেষভাবে জরুরী সতর্কতা জারি করতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়ক, এছাড়া এটি নাগরিক কেন্দ্রের তথ্য সম্পর্কিত বিষয়বস্তু সরাসরি সম্প্রচার করতে সক্ষম, ভিডিও ট্রাফিক উল্লেখযোগ্যহারে কমানো এর মাধ্যমে । এছাড়া এই টেকনোলজি 5G নেটওয়ার্কের উপর বোঝা কমাতে সহায়ক । এবং কি ভুয়া খবর নিয়ন্ত্রণ করাও যাবে এর মাধ্যমে । সর্বোপরি ইন্টারনেট ছাড়াই লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে এই ডি টু এম টেকনোলজির মাধ্যমে ।
কি কি চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছে
ডি টু এম টেকনোলজি বর্তমানে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । তবে মোবাইল অপারেটরদের মতে মূল স্টেকহোল্ডারদের রাজি করানো এই প্রযুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা । এছাড়া এ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যক্তি হলে সার্বিক কাঠামো এবং কয়েকটি প্রযুক্তি নীতিরও কিন্তু পরিবর্তন করতে হবে ।
যেহেতু বর্তমানে বাজারের যেসব মোবাইল রয়েছে সেই গুলো ডি টু এম প্রযুক্তির সাপোর্ট করছে না ।
তাই এমন সব মোবাইল তখন বাজারে আনতে হবে যে গুলো প্রযুক্তির করবে । সেই সঙ্গে আলাদা বেসমেন্ট প্রসেসিং ইউনিটের সাথে বিপুল পরিমাণের এন্টিনার, নো লয়েজ, MP5,বেসমেন্ট ফিল্টার এবং রিসিভার ও লাগবে ।
এই ডিরেক্ট টু মোবাইল টেকনোলজি নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ চলছে ভারতে । পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে বেঙ্গালোর গন্তব্য পথ এবং ৯ টার মতো কয়েকটি শহরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে । এবং ডি টু এম প্রকল্প সফল হলে শুধু ভারত নয় পুরো পৃথিবীর প্রযুক্তির খাতে যুগান্তকারি পরিবর্তন আসবে । তখন কোনো ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়ায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাফারিং ফ্রী লাইভ কনটেন্ট ও ভিডিও দেখতে পারবেন সবাই ।